শৈশবের দিনগুলোতেই কোডিং এবং অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য আগ্রহী ছিল ফাহিম সালেহ। বাংলাদেশি পিতা-মাতার সংসারে সৌদি আরবের জন্ম নেয়া ৩৩ বছর বয়সী এ উদ্যোক্তা হাইস্কুলে পড়ার সময় নিজের প্রথম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
তিনি ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ও নেপালের জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাও এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
ফাহিম নাইজেরিয়ায় গোকাডা নামের একটি মোটরবাইক ট্যাক্সি অ্যাপ চালু করেন। দেশটির রাজধানী লেগোস কর্তৃপক্ষ এবছরের শুরুতে এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে তিনি তার ব্যবসায়ের এক বড় ধরনের হোচট খান।
আন্তর্জাতিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এত অল্প বয়সে মারা না গেলে তার জীবন পৃথিবীকে আরও অনেক কিছু দিতে পারতেন।
বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাও এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ'র খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ নিউ ইয়র্কের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে পাওয়া গেছে। খবর বিবিসি বাংলা।
নিউইয়র্কের পুলিশ বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকালে সালেহর খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ পাওয়া যায়। এ সময় তার মরদেহের পাশে একটি যান্ত্রিক করাত পাওয়া যায়। নিউইয়র্ক পুলিশের ধারণা, পেশাদার খুনিরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।